[PDF] ধেয়ে আসছে ফিতনা - লেখক : ইমাম আবু আমর উসমান আদ-দানি (পিডিএফ) | Dheye Ashce Fitna by Imam Abu Amor Usman Ad-Dani

ধেয়ে আসছে ফিতনা pdf দাজ্জাল চিনুন নিরাপদ থাকুন pdf শেষ জামানার ফিতনা pdf ফিতনা থেকে বাঁচুন বই pdf কিতাবুল ফিতান সব খন্ড pdf কিতাবুল ফিতান ২য় খন্ড

ধেয়ে আসছে ফিতনা পিডিএফ লেখক : ইমাম আবু আমর উসমান আদ-দানি


প্রকাশনী : পথিক প্রকাশন
বিষয় : আল হাদিস, ইসলামী জ্ঞান চর্চা, কিয়ামতের আলামত, ফিতনা
অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : মুফতি মাহদী খান
তাখরিজ ও সম্পাদনা : মুফতি তারেকুজ্জামান
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৪৮
বইয়ের ধরণ : পিডিএফ ডাউনলোড

        ফিতনার বিবরণ ও আলোচনা

عن بريد بن أبي مريم، عن أبيه، قال : قام فينا رسول اللہ ﷺ مقاما حدثنا بما هو كائن إلى أن تقوم الساعة.

[১] বুরাইদ বিন আবি মারইয়াম রহর সূত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে কিয়ামত পর্যন্ত কী কী ঘটবে তার বর্ণনা দিয়েছেন।

নোট : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সময়ে সাহাবায়ে কিরাম রা.-কে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর ফিতনা সম্পর্কে বা ভবিষ্যতে পৃথিবীতে কী কী ঘটবে তার বর্ণনা দিতেন। তাদেরকে আগত সমস্যা, যা তিনি আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে জানতে পারতেন, তার আলোচনা করতেন। কিন্তু আজ সমাজে আমরা যারা সর্বসাধারণ আছি, তারা এ বিষয়টি থেকে বঞ্চিত। সমাজের উলামায়ে কিরাম এ বিষয়ে জনসম্মুখে বা ঘরোয়া কোথাও তেমন একটা আলোচনা করেন না বললেই চলে। আর যদি কেউ করেন তবে অন্যরা বিষয়টিকে এভাবে উড়িয়ে দেন যে, এসব বিষয় এখন আলোচনা করার সময় নয়; এগুলো আরও শত শত বছর পরে ঘটবে! কেউ কেউ বলেন, এ সম্পর্কীয় হাদিসগুলো সব দুর্বল; তাই এসব আলোচনা করে বা এ জাতীয় হাদিস বর্ণনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোনো অর্থ হয় না। আবার তারা এ বিষয়ে সহিহ হাদিসে কী আছে, সেটাও কিন্তু বলতে চান না। কারণ, তা বর্তমান সমাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কিছু দ্বীনদার ছাড়া অধিকাংশ মানুষও আজ এসব বিষয়ে ততটা আগ্রহী নয়। উলামায়ে কিরাম, যারা নিজেদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উত্তরসূরি হিসেবে ভাবেন, তাদের উচিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মতো মিম্বারে দাঁড়িয়ে উম্মাহকে জানিয়ে দেওয়া যে, তাদের সামনে কী ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। ওয়ারিসে নবি হিসেবে এ দায়িত্ব তো আলিম-উলামার ওপরেই বর্তায়। তাই হক্কানি আলিমদের এসব বিষয়ে সাধারণ উম্মাহকে সতর্ক করা একান্ত কর্তব্য।

عن حذيفة، قال : قام فينا رسول الله مقاما ما ترك شيئا يكون في مقامه ذلك إلى قيام الساعة إلا حدث به حفظه من حفظه، ونسيه من نسيه.

· সহিহ। আল-মুজামুল কাবির, তাবারানি : ১৯/২৭৫ (৬০৩)

[২] হুজাইফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়ালেন এবং তাঁর সময় থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত কী কী ঘটবে—সবই বর্ণনা করলেন। যে তা সংরক্ষণ করার সংরক্ষণ করল, আর যে ভুলে যাওয়ার সে ভুলে গেল।

عن أبي عبد ربه، قال سمعت معاوية رحمه الله، يقول سمعت رسول الله يقول لم يبق من الدنيا إلا بلاء وفتنة، فأعدوا للبلاء صبرا.

[৩] আবু আবদি রাব্বিহ রহ. বলেন, আমি মুআবিয়া রা.-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, দুনিয়ার মাঝে বিপদাপদ আর ফিতনা ব্যতীত কিছুই অবশিষ্ট থাকল না। সুতরাং তোমরা সে বিপদাপদের জন্য ধৈর্যের প্রস্তুতি গ্রহণ করো।

নোট : একটু লক্ষ করে দেখুন, বর্তমানে আমরা এমন এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি, যখন বিপদ একটি ছাড়ে তো আরেকটি আসে; অথচ এ মুহূর্তে আমাদের করণীয় কী, তা আমাদের অধিকাংশেরই জানা নেই। আগের আলোচনাতে আমরা বলে এসেছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে সাহাবায়ে কিরাম রা.কে ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে কী হবে, তা বলে দিতেন এবং তখন মুমিনের করণীয় কী, সেটাও বাতলে দিতেন—আমরা আজ সে নিয়ামত থেকে বঞ্চিত। এমন বিপদে মুমিনের ধৈর্যের মানসিকতা রাখতে হবে এবং নিজেকে ধৈর্যের গুণে গুণান্বিত করতে হবে, এ ব্যাপারে আজ আমরা বেশিরভাগ মানুষই কিছু জানি না। বিপদে পড়ে আমরা মুখে কখন যে কী বলে ফেলি নিজেরাও বুঝে উঠতে পারি না। এতে অনেক সময় আমাদের ইমানই হুমকির মুখে পড়ে যায়। আল্লাহ তাআলা তাঁর ইমানদার বান্দাদের ডেকে বলেন—‘হে ইমানদারগণ, তোমরা (বিপদে) সালাত ও ধৈর্যের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সাহায্য প্রার্থনা করো।' পৃথিবীতে আজ ফিতনার যে সয়লাব চলছে, যদি আল্লাহ তাআলার বিশেষ দয়া ও অনুগ্রহ না থাকে, তাহলে ইমান রক্ষা করা অসম্ভব। তাই আমাদের সালাত ও সবরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ইমান রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করতে হবে এবং খুঁজে খুঁজে দ্বীনের সঠিক বিষয়গুলো জেনে সে অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে হবে।

عن ثوبان، قال : قال رسول اللہ ﷺ : إن الله أو قال ربي تبارك وتعالى زوى لي الأرض فرأيت مشارقها ومغاربها، وإن ملك أمتي سيبلغ ما زوي لي منها،

সহিহুল বুখারি : ৬৬০৪; সহিহু মুসলিম : ২৮৯১ “ সহিহ। সুনানু ইবনি মাজাহ ৪০৩৫

وأغطيت الكنزين الأحمر والأبيض، وإنّي سألت ربي لأمتي ألا يهلكها بسنة بعامة، ولا يسلط عليها عدوا من سوى أنفسهم فيستبيح بيضتهم، وإن رئي تبارك وتعالى قال : يا محمد ! إنّي إذا قضيت قضاء فإنه لا يرد، وإنّي لا أهلكهم بسنة بعامة، ولا أسلط عليهم عدوا من سوى أنفسهم فيستبيح بيضتهم، ولو اجتمع عليهم من بين أقطارها، أو قال : من بأقطارها، حتى يكون بعضهم يسبي بعضا، ويكون بعضهم يهلك بعضا، وإنما أخاف على أمتي الأئمة المضلين، وإذا وقع في أمتي الشيف لم يرفع عنها إلى يوم القيامة.

[৪] সাওবান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা আমার জন্য দুনিয়াকে সংকুচিত করে দিয়েছেন, যার কারণে আমি পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত ও পশ্চিমপ্রান্তের সব দেখে নিয়েছি। আমার উম্মতের রাজত্ব সে পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছবে, যতদূর দুনিয়াকে আমার সামনে সংকুচিত করে দেওয়া হয়েছিল। আর আমাকে দুটি ধনভান্ডার প্রদান করা হয়েছে—একটি লাল, আরেকটি সাদা। আমি আমার রবের কাছে আমার উম্মতের জন্য আবেদন করলাম, তিনি যেন তাদেরকে নিরঙ্কুশভাবে ধ্বংস করে না দেন এবং তাদের ওপর নিজেরা ব্যতীত অন্য কোনো শত্রুকে চাপিয়ে না দেন। যারা তাদের মর্যাদাবানের মর্যাদাহানীকে বৈধ মনে করবে। আমার রব আমাকে বললেন, হে মুহাম্মাদ, আমি যখন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, তখন তা আর পরিবর্তিত হওয়ার নয়। আর তা হচ্ছে, আমি তাদেরকে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দ্বারা ধ্বংস করব না এবং তাদের ওপর নিজেদের ব্যতীত ভিন্ন কোনো শত্রুও চাপিয়ে দেবো না, যারা তাদের সম্মানিতদের সম্মানহানীকে বৈধ মনে করবে; যদিও ভূখণ্ডের সবাই (সকল কাফির) একত্রও হয়, যতক্ষণ না তারা (মুসলমানেরা) নিজেরা নিজেদের বন্দী করে এবং তাদেরই একজন অপরজনকে হত্যা করতে শুরু করে।' রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি আমার উম্মতের জন্য পথভ্রষ্ট নেতৃবৃন্দের ব্যাপারে আশঙ্কা বোধ করছি। আমার উম্মতের মাঝে যদি একবার তলোয়ার উত্তোলন হয়ে যায়, তবে কিয়ামত পর্যন্ত আর তা অবনমিত হবে না।

عن عبد الله بن عبد الله بن جابر بن عتيك، أنه قال : جاءنا عبد الله بن عمر في بني معاوية وهي قرية من قرى الأنصار، فقال لي : هل تدري أين صلى

® সহিহু মুসলিম : ২৮৮৯; সুনানুত তিরমিজি : ২১৭৬

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ