শুধু খেলেই তো হবে না জানতে হবে তার উৎপত্তি,উপকারিতা এবং গুণাগুণ।তাই আজ আমরা জানবো দই সমাচার।
দইয়ের উৎপত্তি
দই এর উৎপত্তি তুরস্কে। শব্দটি নিজেই পুরানো তুর্কি মূল, ইয়োগ থেকে এসেছে, যার অর্থ 'কনডেন্স' বা 'তীব্রতর',।
এটি ইংরেজিতেও প্রথম দেখা যায় যখন একজন ভ্রমণ লেখক স্যামুয়েল পার্চাস 1625 সালে নোট করেন যে কীভাবে তুর্কিরা দুধ টক না হলে সেবন করত না, যাকে তারা 'দই' বলে।
দইয়ের গুণাগুণ
দই বিভিন্ন গুণে সমৃদ্ধ।দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-১২,পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। দই খেলে শুধু শরীর ঠান্ডাই থাকে না বরং ইহা অতি দ্রুত খাবার হজম করতেও সহায়তা করে। রোজ এক বাটি দই খেলে শরীর ডিটক্স হয়।
এখন আমরা জানবো
নিয়মিত দই খাওয়ার ১১টি উপকারিতা
দই শুধু মজাদার খাবারই নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত এ উপাদানটি নিয়মিত রাখলে আপনি বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাবেন। এ লেখায় থাকছে তেমন কয়েকটি উপকারিতার কথা।
১.রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি –
নিয়মিত দই খাওয়া হলে তা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া দই দেহের রক্তের শ্বেতকণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমাদের শরীরকে করে প্রাণবন্ত।
২.হজমে উপকারী
অনেকেই হজমের সমস্যার কারণে দুধ খেতে ভয় পেয়ে থাকেন কিন্তু দই খেলে সমস্যা হয় না।কারণ
স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া কেবল অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে অপ্টিমাইজ করে না যা হজমেরও উন্নতি করে, তবে এটি ল্যাকটোজ চিনিকে ভেঙে ফেলতেও সাহায্য করে, এটি হজম করা সহজ করে তোলে।
৩.চুলের জন্য উপকারী
দইয়ে পাওয়া প্রোটিন চুলের খাদকে মজবুত করতে সাহায্য করে, বিভক্ত প্রান্ত এবং চুলের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। দইয়ে বিদ্যমান ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং ধুয়ে ফেলার সময় এটি ত্বকের মৃত কোষগুলিকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। দই আমাদের চুলের ফলিকল, স্ক্যাল্প এবং শিকড়গুলিতে চিকিৎসা করে এবং প্রসাধনী হিসেবে প্রভাব ফেলে।
৪.উপকারী ব্যাকটেরিয়া
দইয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়াগুলো দেহের ক্ষতি করে না বরং হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়া দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে দইয়ের ব্যাকটেরিয়া।
৫.রক্তচাপ কমায়
দইয়ের পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
৬. ত্বকের জন্য উপকারী
দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ দূর করে।২০১১ সালের এক গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে দই ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে ত্বককে করে মসৃন। আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার ত্বক স্বাভাবিকভাবেই কোলাজেন হারায়, এক ধরনের প্রোটিন যা স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। মুখের মুখোশ সামগ্রিক ত্বকের চেহারা উন্নত করার সময় স্থিতিস্থাপকতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে দই।
৭. মজবুত হাড়
দইয়ে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন 'ডি'। দুটি উপাদানই হাড়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হবে।
৮. খাদ্যপ্রাণ
দইয়ে অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভিটামিন 'বি৫', জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন ও রিবোফ্লাভিন।
৯. দেহের ছত্রাক প্রতিরোধ
অনেকের দেহের সংবেদনশীল অঙ্গে ছত্রাক সংক্রমণ হয়। আর এ ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে দই।
১০. পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূরীকরণে
পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে দই। বিশেষ করে ল্যাকটোজের প্রতি সংবেদনশীলতা, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, কোলন ক্যান্সার ও অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে কার্যকর দই।
১১. ওজন কমাতে
নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় দই খেলে দেহের ওজন কমে। এতে জানা গেছে, খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া হলে তা দেহের চর্বি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে দেহের চর্বি কমে এবং সার্বিকভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
এই হলো আজকের মতো দই সমাচার
বিথী রানী
ভলেন্টিয়ার কনটেন্ট রাইটার,
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....