মহিলাদের মসজিদ গমন : বিভ্রান্তি নিরসন - লেখক ব্রাদার রাহুল হুসাইন

  • বই : মহিলাদের মসজিদ গমন : বিভ্রান্তি নিরসন
  • লেখক : ব্রাদার রাহুল হুসাইন (রুহুল আমিন)
  • প্রকাশনী : দারুল কারার পাবলিকেশন্স
  • বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
  • সম্পাদক : শাইখ আবু আহমাদ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী



মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাআতের সঙ্গে সালাত/নামাজ আদায় করার বিধান কী? এ ব্যাপারে আলিমগণের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে। কথা হচ্ছে, মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে সালাতের জামাআতে হাজির হওয়া বৈধ, জামাআত ছাড়াও মসজিদে গিয়ে সালাত পড়া বৈধ, যদি মসজিদে পুরুষদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও পরিপূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকে। মসজিদে গমনের ব্যাপারে হাদীস এসেছে; এই বিষয়ের স্পষ্ট সমাধান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীসের মধ্যেই বিদ্যমান। বক্ষ্যমান প্রবন্ধে আমরা কিছু হাদীস নিয়ে আলোচনা করব এবং মাসআলাটির সমাধান করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

মহিলাদের মসজিদে গমন প্রসঙ্গে আহলেহাদীসদের সিদ্ধান্ত : মহিলারা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মসজিদে গিয়ে আদায় করতে পারবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, হা. ১০৫৯)। তবে তাদের জন্য ঘরেই সালাত আদায় করা উত্তম (আবু দাউদ, হা. ৫৬৭; সহীহুত তারগীব, হা. ৩৪৩; মিশকাত, হা. ১০৬২)। জুমুআর সালাতে তাদের জন্য মসজিদে যাওয়া ভালো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, 'তোমরা মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ করো না' (মুসলিম, হা. ৪৪২; মিশকাত, হা. ১০৮২)। তবে মহিলাদের জন্য ঈদের মাঠে যাওয়া জরুরি (বুখারী, হা. ৩৫১; মুসলিম, হা. ৮৯০; মিশকাত হা. ১৪৩১)।

সম্পাদক বলেন,
সালাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম বিধান যা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ বিবেকসম্পন্ন নর-নারীর উপরই ফরজ। সেই সাথে পুরুষের জন্য মসজিদে নামাজ পড়ার বিধান নিয়ে কোন মতপার্থক্য নেই। এই বিধান কি শুধু পুরুষের জন্য নাকি নারীর জন্যেও? কুরআন ও হাদীসে এর সমাধান কি? নারীরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারবে কি না এ নিয়ে আমাদের সমাজে বিতর্ক পরিলক্ষিত হচ্ছে।

আমার স্নেহের ব্রাদার রাহুল হোসেন (রুহুল আমিন) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তরুণ দাঈ "মহিলাদের মসজিদে গমন : বিভ্রান্তি নিরসন" গ্রন্থটি প্রণয়ন করেছেন। বইটির আদ্যোপান্ত আমি পড়েছি। চমৎকারভাবে হাদীসের তাহক্বীক্ব ও তাখরীজসহ সম্পুর্ণ বইটি তথ্যসূত্রে দিয়ে উল্লেখ করেছেন। বইটি তে দুইটি অধ্যায় আছে প্রথম অধ্যায়ে মহিলাদের মাসজিদ গমন অনুমোদিত স্বপক্ষে ২১টি সহীহ্ হাদীস উল্লেখ করেছেন। আর দ্বিতীয় অধ্যায়ে বিরোধিতাকারীদের দলীলের জবাব এবং যুক্ত খন্ডন করেছেন। এক কথায় বইটি উভয়ই দিক থেকেই অনেক সুন্দর হয়েছে। বইটি থেকে আলিম এবং সাধারণ পড়ুয়া সব শ্রেণীর ব্যাক্তি উপকৃত হতে পারবেন বলে মনে করছি।

আল্লাহ লেখকের পরিশ্রমকে কবুল করুন এবং বইটি কবুল করে নিন। আমিন।
আবু আহমাদ সাইফুদ্দিন বেলাল

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ