বইয়ের নাম : হেল্পিং হ্যান্ড
লেখক : কয়েস সামী
বিষয় : সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার
প্রকাশনী : অনুজ প্রকাশন
হেল্পিং হ্যান্ড - কয়েস সামী | Helping Hand |
ছোট একটা বাচ্চা রাতে ঘুমুবার আগে দাঁত ব্রাশ না করার শাস্তিস্বরূপ তার মা প্লাস দিয়ে তার একটি দুধ-দাঁত তুলে ফেলেন। কারন তিনি বিশ্বাস করেন- "কেউ যখন তার দাঁতের যথাযথ যত্ন নিতে পারেনা, তখন তার সেই দাঁত রাখার কোন অধিকার থাকে না।"
ভাবুন তো, বাচ্চাটা তার জীবনে ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত এমন ছোট ছোট ভুলের জন্য আর কী কী শাস্তি পেতে পারে? এই শাস্তি তার সাকোলজিতে কীরকম প্রভাব ফেলতে পারে?
rokomari.comhttps://www.rokomari.com › bookহেল্পিং হ্যান্ড (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড): কয়েস সামী
বাচ্চাটা উপন্যাসের নায়ক- রাকিব। প্রেমে পড়ার মতো অসাধারণ চরিত্রের মানুষ যার ৯৯℅ আচরণ আপনি ভালোবাসবেন কিন্তু ১℅ আচরণে আপনি শিউরে উঠবেন। এই ১℅ নিষ্ঠুরতা ৯৯℅ ভালোবাসাকে উগ্রে দিতে যথেষ্ট। সে তার মায়ের থেকে শিখেছে-
" আমরা যখনই কোন নিয়ম ভঙ্গ করব, আমাদের অবশ্যই পানিশমেন্ট এর ভেতর দিয়ে যেতে হবে। না হলে আমাদের শিক্ষাটা যথাযথ হয় না।"
তাই সে তার স্ত্রীকে বড় গলার জামা পড়ার শাস্তি দিয়েছিল - মাথার ১০০টি চুল ছিঁড়তে একদম গোড়া থেকে।
লেখক অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় তিন খন্ডের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারটি লিখেছেন। রাকিব, তানিয়া, লাবণ্য ও শামীম চরিত্রগুলো একদম দোটানায় ফেলে দেয়- কে ভালো আর কে খারাপ!
আমাদের দেশে যাদের কাজের মেয়ে বলা হয় বাইরের দেশে তাদের বলে হেল্পিং হ্যান্ড। তানিয়া একজন হেল্পিং হ্যান্ড, উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তার কিছু কথা বাস্তবসম্মত-
চুরি করায় না একটা মজা আছে। আপনি যখন একবার চুরি করবেন, আর অন্য কেউ সেটা বুঝতে পারবে না তখন আপনার সুযোগ পেলেই বারবার চুরি করার ইচ্ছে করবে। ছোটখাটো চুরি করতে করতে একসময় আপনার ইচ্ছে করবে বড় কিছু চুরি করার।
স্কুলে যাওয়া আসা করতে করতে ছেলের ক্লাসমেটদের মায়েদের সাথে যে বন্ধুত্ব হয় তা কখনো সত্যিকারের বন্ধুত্ব হতে পারে না। এরা একে অন্যকে নিজেদের শান-সওকত দেখানোর হাস্যকর প্রতিযোগিতায় মেতে থাকে।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....