শির্ক মিশ্রিত উৎসব !

মাদীনাবাসীরা আনন্দ উৎসব করত এমন একদিনে রাসূলুল্লাহ (সা) এলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “এই দুদিন কীসের?” তারা বলল, “অজ্ঞতার যুগে এই দুই দিন আমরা আনন্দ উৎসব করতাম।” রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, “আল্লাহ এই দিন দুটির পরিবর্তে আরও উত্তম দুটি দিন দিয়েছেন: ঈদ আল-আযহা ও ‘ঈদ আল-ফিতর।” 


এখানে এটি স্পষ্ট যে, প্যাগানদের ঐদুটি দিনে আনন্দ উৎসব করা ছিল মাদীনার প্যাগান আরবদের রীতি। আর তাই রাসূলুল্লাহ (সা) তাদের ঐদিন দুটোতে আনন্দ উৎসব করতে বারণ করেছেন। বরং বলেছেন, “আল্লাহ এর পরিবর্তে আরও ভালো দুটো দিন দিয়েছেন”, যার অর্থ বদলে দেওয়া দিনগুলোকে বাদ দিয়ে নতুন দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করতে হবে।

উপরের হাদীস থেকে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, অন্য ধর্মের উৎসব হওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর সাহাবাদের সেইদিনগুলোতে আনন্দ করতে নিষেধ করেছেন। ধর্মীয় প্রেক্ষাপটযুক্ত যেকোনো উৎসবই এই বিধানের অন্তর্ভুক্ত। 

এ ধরনের ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে রয়েছে বড়দিন, দিওয়ালি, দূর্গাপূজা, ইস্টার সানডে, হ্যালোয়িন ইত্যাদি। উৎসবগুলো যদি তাদের ধর্মীয় গুরুত্ব হারিয়েও ফেলে, তারপরও এগুলো উদ্‌যাপনের অনুমতি ইসলামে নেই। এর কারণ: এসব উৎসবের মূলে রয়েছে শির্ক। আর মুসলিম হিসেবে আমরা কোনোভাবেই শির্ককে প্রশ্রয় দিতে পারি না।

জন্মদিন পালনও এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে। কেননা এর শেকড় গ্রিক মিথোলজি থেকে উদ্ভূত প্রাচীন প্যাগান-প্রথা। সেইসাথে এটা অজ্ঞতাপূর্ণও বটে।

— ইসমাঈল কামদার

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ