Title | আজ চিত্রার বিয়ে |
Author | হুমায়ূন আহমেদ |
Publisher | সময় প্রকাশন |
Quality | হার্ডকভার লিংক | পিডিএফ লিংক |
ISBN | 9844582857 |
Edition | 16th Printed, 2016 |
Number of Pages | 100 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
Cover image : আজ চিত্রার বিয়ে |
'আজ চিত্রার বিয়ে' উপন্যাসটিতে মূলত লেখক হুমায়ন আহমেদ স্যার চিত্রা নামের একটি মেয়ের পরিবারের বিভিন্ন মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। চিত্রার পরিবারে আছে তার বাবা রহমান সাহেব যিমি সবসময়ই অনেকটা মনভোলা থাকেন, চিত্রার মা শায়লা যিনি স্বভাবতই পারিবারিক বিভিন্ন জিনিস নিয়ে চিন্তিত থাকেন আর আছে চিত্রার ছোট বোন মীরা যে এস এস সি দিবে।
ঢাকা শহরে চিত্রাদের বাড়িটি একতালা। চিত্রার মা শায়লা বানু হাইপার টেনশনের রোগী। চিত্রার বাবা রহমান সাহেব সরল সিধে ভালো মানুষ।
আহসান খান মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, তার সাথেই চিত্রার বিয়ের কথা চলছে । কথাবার্তার এক পর্যায়ে বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। প্রথমে এ্যাঙ্গেজমেন্টের কথা হয়, কিন্তু ছেলে পক্ষ ঠিক করে সেদিনই সাথে করে কাজী নিয়ে আসবে এবং বিয়ের কাজটাও শেষ করে ফেলবে। কিন্তু , বিয়ের পরে সেদিনই চিত্রাকে নিয়ে যাবে।
চিত্রার ছোট বোন মীরা, এবার এসএসসি দিয়েছে, অত্যন্ত রূপবতী। ইদানিং ফোনে যেন কার সাথে কথা বলে। শায়লা বানু বিষয়টা লক্ষ্য করেন, একদিন তিনি মীরাকে ডেকে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করেন। মীরা স্বীকার করে যে সে একটা ছেলের সাথে টেলিফোনে কথা বলে কিন্তু ছেলেটাকে সে চেনে না, কখনো দেখেনি। শায়লা বানু যুক্তি দিয়ে মীরাকে বুঝি দেন যে ফোনের ছেলেটি মজনু ছাড়া আর কেউ না। এই কথা শুনে মীরাও চিন্তা করে দেখে আসলেই তাই হতে পারে। শায়লা বানু একদিন তার ভাড়াটিয়াকে ডেকে এনে জানান যে মজনু তার ছোট মেয়েকে ফোনে ডিস্টার্ব করে। এই কথা শুনে তিনি মজনুরকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ১০০বার কান ধরে উঠবস করিয়ে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেন। কিন্তু মজনু যখন কান ধরে উঠবস করছে তখনই আবার ফোন আসে সেই ছেলেটির, মীরা বুঝতে পারে ভুল হয়ে গেছে মজনু আসলে ফোন করে না।
মজনু চিত্রাদের ভাড়াটিয়ার বাসায় থাকে, ইন্টারমিডিয়েট পাশ। দুবছর আগে সে এসেছে চাকরির খোঁজে, চাকরি মেলেনি।
রহমান সাহেবের ছোট বোন ফরিদা। এর আবার একটু হাতটানের স্বভাব আছে, ডিপাটমেন্টাল স্টোর থেকে এটা সেটা তুলে নিয়ে আসে, এমনকি চিত্রাদের বাসা থেকেও একবার একটা সোনার হার চুরি করে নিয়ে গেছে। ফরিদা তার স্বামীর সাথে রাগারাগী করে, এবং তার স্বামী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। রহমান সাহেব ফরিদাকে তার স্বামীর কাছে দিয়ে আসতে যায় কিন্তু তার স্বামী তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয় না। রহমান সাহেব তার বোনকে সেখানেই রেখে বাড়িতে চলে আসেন। এদিকে ফরিদা ঠিক করে সকাল হলেই সে ৫ তালার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করবে। যেদিন চিত্রার বিয়ে হওয়ার কথা সেদিন সকালেই ফরিদা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে বসে।
রহমান সাহেব তার বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বোন মারা গেছে কেউ একজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি একটা এ্যাম্বুলেন্সে করে তার মৃত বোনকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ির দিকে চলতে শুরু করেন, তার গ্রামের বর্তমানের কোন ঠিকানাই তিনি মনে করতে পারেন না, তার মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। গল্পের শেষে মৃত বোনের সাথে অর্থহীন কথা বলতে থাকেন এবং তার কেনা বোনের জন্য চুরি গুলু মৃত বোন কে পড়াতে থাকেন ,
রিভিউ লিখেছেন 💕 অন্তিকা রাহা
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....